জিম্বাবুয়েতে ‘সেনা অভ্যুত্থান’: আফ্রিকান ইউনিয়ন
জিম্বাবুয়েতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে গৃহবন্দী করার বিষয়টিকে ‘সেনা অভ্যুত্থান’-এর মতো মনে করছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। সংস্থাটির প্রধান ও গায়ানার প্রেসিডেন্ট আলফা কঁদে দেশটিতে অবিলম্বে সংবিধান পুনরায় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। খবর বিবিসি বাংলা।
যদিও অভ্যুত্থানের কথা অস্বীকার করেছেন সেনা কর্মকর্তারা। ৩৭ বছর ধরে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে ঘিরে থাকা অপরাধীরা জিম্বাবুয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। তাদের শায়েস্তা করতে এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী নিরাপদে আছেন বলে জানায় সেনাবাহিনী।
মুগাবের বয়স ৯৩ বছর। আশির দশকের শুরুতে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হয় আফ্রিকার এ দেশ। তখন থেকেই ক্ষমতায় রবার্ট মুগাবে। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ ছিলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট মুগাবে গত সপ্তাহে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত। এত দিন নানগাগওয়াকে মুগাবের উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু মুগাবে সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে নিজের স্থলাভিষিক্ত করার পরিকল্পনা করেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বরখাস্ত করা হয় ভাইস প্রেসিডেন্টকে। নানগাগওয়া সেনাবাহিনীর কাছে বেশ জনপ্রিয়। মুগাবের স্থলে তাঁকে বসাতে এই সামরিক পদক্ষেপ বলে অনেকে ধারণা করছেন।
বরখাস্ত হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিয়ে গিয়েছিলেন নানগাগওয়া। সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গতকাল বুধবার সকালে তিনি দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে মেজর জেনারেল সিবুসিসো ময়ো বলেছেন, এটা কোনো অভ্যুত্থান নয়। মুগাবে নিরাপদে আছেন। তবে তিনি কোথায় আছেন, এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তাঁদের উদ্দেশ্য হাসিলের পর দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন ওই সেনা কর্মকর্তা।